আওয়ামী লীগ সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে মন্তব্য করে দলের শুদ্ধিতে জোর দিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

যারা অপকর্ম করে, তাদের দল থেকে বাদ দিয়ে শুদ্ধদের নিয়ে দল গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন তিনি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (আইইবি) আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিলের কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দল যদি শক্তিশালী না হয়, সরকার কোনোদিনও শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী শেখ হাসিনা সরকারের জন্য শক্তিশালী আওয়ামী লীগ সংগঠন অপরিহার্য। তাই আমাদের দলকে কলহ-কোন্দলমুক্ত করতে হবে। কিছু কিছু স্থানে মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলা হয়। বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হবে। অপকর্মকারীদের আওয়ামী লীগে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। আমাদের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কর্মী, বিতর্কিতদের প্রয়োজন নেই। শীতের অতিথি পাখিরা সুসময়ে আসবে, দুঃসময়ে থাকবে না। এই রকম মৌসুমি অতিথিদের দরকার নেই।

অপকর্মে যারা জড়িত, তাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আজকের যারা মাদক-লুটপাটে জড়িত, জমি দখলে জড়িত, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করে, তারা সাবধান হয়ে যান। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এই অ্যাকশন শুধু ঢাকা নয়, সারাবাংলায় চলবে। কেউ যদি মনে করেন, শেখ হাসিনার অ্যাকশন বন্ধ হয়ে গেছে, ভুল ভাবছেন। যারা অপকর্ম করেন, তারা প্রত্যেকে নজরদারিতে আছেন। কখন যে কে ধরা পড়বে, সাধবান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দল থেকে আজ দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। দলের মধ্যে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। দলের প্রতিটি পর্যায়ে শুদ্ধ কর্মীদের জায়গা করে দিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাঁচাতে হবে। দলের অসুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

পরে ওবায়দুল কাদের কাউন্সিলের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন সবার জন্য পঠিত বলে গণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। শুরুতেই তিনি তৃণমূল থেকে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান সবাইকে। পরে সাধারণ সম্পাদককে তার প্রতিবেদন উপস্থাপনের আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত আছেন দলের সাত হাজার কাউন্সিলর। এই অধিবেশন থেকে তাদের ভোটে নির্বাচিত হবে দলের পরবর্তী নেতৃত্ব।