বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানের জামিন হয়নি

ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানের জামিন হয়নি

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আপিল আদালতে তাদের জামিন হলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিদের জামিনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দু’টি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়। বর্তমানে এ মামলায় আসামি রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন কারাগারে রয়েছেন।

২০১৬ সালের ২০ জুলাই শর্ত সাপেক্ষে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদক আপিল করলে হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। এ আবেদনের শুনানির একপর্যায়ে আত্মসাৎ করা টাকা জমা দিতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।

সে অনুসারে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ডেসটিনির পক্ষ থেকে গাছ বিক্রি করে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। ওইদিন হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানানো হয় যে, তাদের কাছে ৩৫ লাখ গাছ আছে। প্রতিটি গাছ আট হাজার টাকায় বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে পারবেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জামিনের শর্ত পূরণে আপিল বিভাগ দুই আসামি যে কারাগারে আছেন, সেখানে তাদের সঙ্গে গাছ বিক্রির সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও আলোচনার সুযোগ দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যানটেশনের সিইও ড. শামসুল হক ভূঁইয়া এমপির তত্ত্বাবধানে সব কাজ সম্পন্ন হবে। যদি গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দিতে না পারেন, তাহলে নগদ ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেবেন তারা। এর অনুলিপি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে পাঠাতে হবে। এরপর যারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, যাচাই করে তাদের কাছে টাকা হস্তান্তরের পর জামিনে মুক্তি পাবেন দুই কর্মকর্তা।

কিন্তু ওই শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেই আবেদন ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। তবে শর্ত না মেনে পুনরায় তারা জামিন আবেদন করায় তা খারিজ করলেন আপিল বিভাগ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

December 2019
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24