লন্ডনে বসতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর দেশগুলো। লন্ডনের এই সম্মেলনে ঘিরে ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।
তুরস্কে এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এর মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি, সিরিয়ায় অভিযানসহ নানা বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে পরস্পর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে পশ্চিমরা। এছাড়াও সম্মেলনের আগ মুহূর্তে জোটি নিয়েও মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও এরদোগান।
ফলে নানা বিষয়ে এবার সম্মেলনে এরদোগানের দিকেই নজর থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, আসল এজেন্ডার বাইরে তুরস্ককে ঘিরে থাকা বিষয়গুলোই হয়ে উঠবে ন্যাটো সম্মেলনের আলোচনার মূল বিষয়। সিরিয়া ইস্যু ও তুরস্কের ওপর সন্ত্রাসবাদের হুমকির বিষয়গুলোও তুলে ধরতে পারেন রজব তাইয়েব এরদোগান।
সম্প্রতি পোল্যান্ড ও বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোতে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে তুরস্ক। তবে এর কারণ স্পষ্ট নয়। কুর্দী সশস্ত্র সংগঠন ওয়াইপিজিকে তুরস্কের প্রতি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আনিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ বাধা দেয়ায় তুরস্ক পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওই পদক্ষেপ নিয়েছে। সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানের পাশাপাশি এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে আঙ্কারার ওপর চাপা ক্ষোভ রয়েছে ফ্রান্সের।
এছাড়াও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিক ও সাইপ্রাসের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, সিরিয়া ইস্যু এবং রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে ন্যাটো সম্মেলনে তুমুল বিতর্ক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply