ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর অ্যাপোলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
রওশন আরা বাচ্চুর মেয়ে তাহমিদা বাচ্চু মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বায়ান্নর এই ভাষাসৈনিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
রওশন আরা বাচ্চুর মরদেহ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
তাহমিদা বাচ্চু জানিয়েছেন, বাংলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলেই মরদেহ নেয়া হবে রাজধানীর পশ্চিম মণিপুরের বাসায়। বাদ আসর জানাজা শেষে সন্ধ্যার আগেই মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিলেটের কুলাউড়ার উদ্দেশে রওনা করা হবে। রাতে জন্মভিটায় চিরঘুমে শায়িত করা হবে তাঁকে।
১৯৩২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিলেটের কুলাউড়ার উছলাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন রওশন আরা বাচ্চু। বাবার নাম এ এম আরেফ আলী, মা মনিরুন্নেসা খাতুন। ১৯৪৭ সালে শিলং লেডি কিন স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৪৯ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ১৯৫৩ সালে ভতি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের দর্শন বিভাগে। ১৯৬৫ সালে বিএড ও ১৯৭৪ সালে ইতিহাসে এমএ পাস করেন।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম ছাত্রদলের অন্যতম অগ্রসেনানী ছিলেন রওশন আরা বাচ্চু। ‘গণতান্ত্রিক প্রগ্রেসিভ ফ্রন্ট’ এ যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। পরবর্তীতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও উইম্যান স্টুডেন্টস রেসিডেন্স এর সদস্য নির্বাচিত হন।
Leave a Reply