বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আলোচিত একাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল না বলে আবারও জানিয়েছেন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি এলিস জি ওয়েলস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি পরিষদের শুনানিতে অংশ নেন এলিস জি ওয়েলস। সেখানে তিনি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও দেশটির রাজনৈতিক গতিপথ যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের জন্য সুশীল সংগঠনগুলোর কার্যক্রাম পরিচালনা করতে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাশাপাশি ব্যক্তি ও দলগুলো যেন অনলাইনসহ সকল পর্যায়ের তাদের মতামত অবাধে ব্যক্ত করতে পারে এবং বিরোধী রাজনীতিকরা তাদের আইনসিদ্ধ ভূমিকা পালন করতে পারেন তা নিশ্চিত করা জরুরি বলেও মনে করেন এলিস জি ওয়েলস।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেকবারই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বহুল আলোচিত আবারও প্রতিক্রিয়া দিলেন এলিস। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নেতাদের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বলেছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও সমমনা দেশগুলো দেখেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ বা নিরপেক্ষ, কোনটিই ছিল না। ওই নির্বাচনের আগে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও বিরোধী রাজনীতিকদের ওপর পুলিশের দমন-পীড়ন ও ভীতিপ্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’
তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নিয়ে বাংলাদেশের প্রসংশা করেন তিনি। বাংলাদেশকে বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর জন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি।
Leave a Reply