বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
ভিসিকে প্রশ্ন করায় আবরারের ছোট ভাই-ভাবীকে পেটাল পুলিশ

ভিসিকে প্রশ্ন করায় আবরারের ছোট ভাই-ভাবীকে পেটাল পুলিশ

ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছোট ভাই ফায়াজের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

কেন ৩৬ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিলেন না? কেন জানাজায় অংশ নেননি? কেন জানাজা মাত্র ২ মিনিটে শেষ করতে বলা হয়? বড় ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এমন নানা প্রশ্ন করায় ফায়াজকে মারধর করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আবরার ফাহাদের রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের মারধরে আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আরও একজন নারী আহত হন বলেও তিনি জানান।

আবরার মৃত্যু নিয়ে ক্যাম্পাস যখন উত্তাল তখন সেখানে তিনি ছিলেন না। ক্যাম্পাসেই সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীর জানাজা হলেও তাতেও অংশ নেননি উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার পর ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভিসি। সেখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাতে মুক্ত হোন।

তাকে নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলছিল তখন নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

কিন্তু তাকে আবরারের বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এলাকাবাসীর প্রবল বাধায় র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় ভিসি ঢাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হোন। বঙ্গবন্ধু (যমুনা) সেতু দিয়ে পাবনা হয়ে তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌছান।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি কড়া নিরাপত্তায় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে আবরারের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সেখানে ছিলেন।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় তিনি আবারের বাড়ির দিকে রওনা হোন। কিন্তু স্থানীয় হাজার হাজার জনতা তাদের বাধা দেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় আবরার ফাহাদের ভাই ফায়েজকে পুলিশ হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। আবরারের মৃত্যু, তার জানাজায় বুয়েট উপাচার্যের উপস্থিত না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী।

রায়ডাঙ্গা গ্রামে আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশেপাশের এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

October 2019
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24