দালালের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ফ্রান্স যাবার পথে স্লোভাকিয়ার ষ্টরিনা জঙ্গলে নিহত হওয়া ফরিদ উদ্দিন আহমদের (৩৫) দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশি নিরাপত্তার সাথে তাকে তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের কারিকোনার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
নিহত ফরিদ ওই গ্রামের সমশাদ আলী ও সমরুন নেছা দম্পতির বড় ছেলে। এরআগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কারিকোনা বায়তুল-মামুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামায পড়ান নিহতের ছোটভাই মাওলানা লুৎফুর রহমান।
এসময় দালালদের শাস্তি দাবি করে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, কারিকোনা গ্রামের বাসিন্দা সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ও নিহতের চাচা আব্দুশ শুকুর। এরআগে কারিকোনা গ্রামের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জুবায়েরের পরিচালনায়া নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিলেট আল্-হামরা শপিং সিটির এমডি জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে রাশিয়া যান ফরিদ। তারপর রাশিয়া থেকে দালালের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্স যাত্রাকালে সেøাভাকিয়ার ষ্টরিনা জঙ্গলে নিখোঁজ হন। পরবর্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে থাকা ফরিদের চাচা আলকাছ আলী লন্ডন ও স্লোভাকিয়ার পুলিশের সহায়তায় সেদেশে গিয়ে ফরিদের লাশ সনাক্ত করেন। এরপর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর একটি আবেদন পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবরে পৌছাঁন সাবেক এমপি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী। আবেদনের ১৭দিনের মাথায় গত ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাকল ১১টায় ফরিদের মরদেহ আকাশ পথে সিলেট বিমানবন্ধরে পৌঁছলে শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ পরিবারের সদস্যরা লাশ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply