অর্থ পাচার আইনের মামলায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের রিমান্ড শুনানি হবে আজ।

অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষ না হতেই ঠিকাদার জি কে শামীমকে মুদ্রাপাচার মামলায় ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলায় শামীমকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। বুধবার একই আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় যুজি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষীর জামিন নাকচ করে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত তাদের ফের ৪ দিনের রিমান্ড দেন।

রিমান্ড পাওয়া ৭ দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।

গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে নিকেতনের ৫ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসায় জি কে শামীমের অফিসে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। পরে দুপুর ১২টার দিকে একই রোডের জি কে শামীমের ১৪৪ নম্বর নিজের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানের সময় সেখানেই অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছয় সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। শামীমের অফিস থেকে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা জব্দ করা হয়। শামীমের কাছে একটি অস্ত্রও পায় র‌্যাব।

এর পরদিনই ২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষ হতেই এবার মুদ্রাপাচার মামলায় এই টেন্ডার কিং এর আরও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।