রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
যুক্তরাষ্ট্রে মাটির নিচে ৬৩ কোটি ব্যারেলের তেলের মজুদ!

যুক্তরাষ্ট্রে মাটির নিচে ৬৩ কোটি ব্যারেলের তেলের মজুদ!

সৌদি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার পরই বিশ্ব বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। তেল সরবরাহে সংকট দেখা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জরুরি মজুতে’ থাকা তেল ব্যবহারের কথা বলছে মার্কিন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইট করেছেন। টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, বাজারে তেলের সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সেই ‘কৌশলগত মজুত’ তেল ব্যবহার করতে পারেন তারা।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং লুসিয়ানা অঙ্গরাজ্যে মাটির নিচে লবণের স্তরের ভেতর তৈরি গুহায় বিশাল এলাকা নিয়ে তেল মজুত রয়েছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি মুহূর্তে তেলের যোগান দিতে ৬৪ কোটি ব্যারেল তেল মজুত রাখা হয়েছে।

১৯৭০-এর দশকে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়কার তেল সংকটের পটভূমিকে কেন্দ্র করেই এই তেলের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক জ্বালানি এজেন্সির সব সদস্য দেশকেই অন্তত ৯০ দিন ব্যবহারের মত পেট্রোলিয়ামের আমদানি ধরে রাখতে হয়। তবে জরুরি প্রয়োজন মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে ভান্ডার গড়ে তুলেছে- তার মতো বড় মজুত পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে মোট চারটি জায়গায় এই জরুরি তেলের মজুত রয়েছে। টেক্সাসের ফ্রিপোর্ট এবং উইনির কাছে, লুসিয়ানায় লেক চার্লস আর ব্যাটন রুজে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটির তিন হাজার তিনশ ফুট নিচে মানবসৃষ্ট অনেকগুলো গুহার মধ্যে এই তেল জমা করে রাখা আছে। ভূগর্ভস্থ লবণের স্তরের একটা অংশের লবণ গলিয়ে ফেলে তৈরি করা হয় এই গুহ – যাতে প্রাকৃতিক গ্যাস বা তেল মজুত রাখা যায়।

বিশ্লেষকরা বলছে, মাটির ওপরে ট্যাংকে তেল জমা রাখার চাইতে এই পদ্ধতি অনেক সস্তা এবং নিরাপদ। ভূগর্ভস্থ লবণের রাসায়নিক গঠন এবং ভূতাত্বিক চাপ- দুই কারণেই এখান থেকে তেল বেরিয়ে যেতে পারে না।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ফ্রিপোর্টের কাছে ব্রায়ান মাউন্ডে যে গুহাটি আছে তাতে ২৫৪ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল তেল জমা রাখা যায়।

তবে সর্বশেষ এই মজুতের যে তথ্য ওয়েবসাইটে আছে তাতে বলা হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তেল মজুত রয়েছে ৬৪ কোটি ৪৮ লাখ ব্যারেল।

মার্কিন জ্বালানি প্রশাসনের এক হিসাব অনুযায়ী, মার্কিনিরা ২০১৮ সালে গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৫ লাখ ব্যারেল তেল ব্যবহার করেছে। সে হিসাবে এই জরুরি মজুতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩১ দিন চলবে। ১৯৭৫ সালের এক আইন অনুযায়ী এই জরুরি মজুতের তেল ব্যবহারের নির্দেশ শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টই দিতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

September 2019
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24