চট্টগ্রাম টেস্টের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। প্রত্যাশা ছিল, মিরপুরে আফগানদের টি-২০ ম্যাচে হারিয়ে সেই ক্ষতে অন্তত কিছুটা স্বস্তির প্রলেপ পড়বে। কিন্তু হলো হিতে বিপরীত। প্রত্যাশায় গুড়েবালি ছিটিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলে সাকিব আল হাসানের দলকে। কিন্তু টসে হেরে বল হাতে প্রথম ১০ ওভারে ৬০ রানে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে নেয়ার পর শেষ পর্যন্ত নবী-আসগরদের ঝুলিতে সর্বমোট পুঁজি দাঁড়ালো ১৬৪। অর্থাৎ শেষ ১০ ওভারে আফগানরা তুলেছে ১০৪ রান।
৪০ রানে চার উইকেট হারানো একটি দলকে কেন দেড়শোর কম রানে বাঁধা গেল না, কেন ১৬৪ রানের মতো মামুলি স্কোর তাড়া করা গেল না, ব্যাটে-বলে বলে কেন এত ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স, কেনইবার হুট করে মুশফিককে অপেনিংয়ে ব্যাট করতে পাঠানো- এ প্রশ্নগুলো এখন টাইগারভক্তদের হৃদয়ে নিশ্চয়ই ঘুরপাক খাচ্ছে।
গেল বছর দেরাদুনে আফগানদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এ নিয়ে এই ফরম্যাটে টানা রশিদ খানদের বিপক্ষে টানা ৪ ম্যাচে হতাশ হলো বাংলাদেশ। এখন প্রশ্ন আসবেই- এত এত যখন আয়োজন, এত এত বড় তারকা যখন দলে তখন ঘাটতিটা আসলে কোথায়?
গতকাল আফগানদের কাছে পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমার মনে হয়, দলে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এ কারণেই এমনটা হচ্ছে। আর আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে বলেই ব্যাটসম্যানের মাইন্ডসেটও পরিষ্কার নয়।’
কাপ্তানের মতে, ‘উইকেটটিও ছিল ব্যাটিং সহায়ক। আমরা ম্যাচটা ওদের হাতে দিয়ে এসেছি। সুযোগটা নেয়ার সুযোগ ছিল। আমরা পারিনি।’
মুশফিককে অপেনিংয়ে নামানোর ব্যাখ্যাও ছিল সাকিবের কাছে। তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভাল হচ্ছিল না। তাই আমরা যারা সিনিয়র তারা দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচটা এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। সেখানেও ব্যর্থ হয়েছি। সবাই মিলেই মুশফিককে ওপেন করানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।’
টি-২০ র্যাংকিয়ে ৭ নম্বরে থাকা আফগানদের চেয়ে তিন ধাপ পেছনে ১০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। র্যাংকিং যদি সবসময় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে, তবে তো টেস্টে ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ দশে থাকা আফগানদের চট্টগ্রামে হেসেখেলে হারিয়ে দিতো।
Leave a Reply