আরাম আয়াসের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যই সদাসর্বদা সচেষ্ট করে থাকেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
রুমিন ফারহানা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুগ্রহ করে বলবেন কী, দেশে বর্তমানে মানুষ হত্যা থেকে মশা মারা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রয়োজন হয়, যাহা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাঙিয়া পড়া, অকার্যকর হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। প্রাতিষ্ঠানিক সফলতা একটি কার্যকর রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত। এই অকার্যকর প্রতিষ্ঠানগুলো কি রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে না?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারপ্রধানের দায়িত্ব হলো- সব মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় করা। মন্ত্রীদের কাজের তদারকি করা। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য। আরাম আয়াসের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করিনি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। যিনি তার জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। তার কন্যা হিসেবে জনগণের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। আমি সেটাই প্রতিপালনের চেষ্টা করি। সে জন্যই দিনরাত পরিশ্রম করি। কোনো প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করার জন্য নয়, সব প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় রাখার জন্য আমি সদাসর্বদা সচেষ্ট থাকি।
ডেঙ্গু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ৫৭ হাজার এসএস-ওয়ান কম্ব কিটসহ মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট আমদানি করেছি। তবে আগস্ট মাসের ৬ তারিখ থেকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে দেশেই এ কিট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট ঘাটতির আর কোনোও সম্ভাবনা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি গাইড লাইন রয়েছে। সেই গাইড লাইনের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তারা স্থানীয় চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ঢাকার ২৩টি সরকারি, ৪১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ ৬৪ জেলায় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
Leave a Reply