বিতর্কিত কার্মকাণ্ডের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের করে দেয়া হয়েছে প্রায় অর্ধশত বিদেশি এনজিও ও সংগঠনকে। এছাড়াও অনেক এনজিও’কে কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এমন কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। এ সময় তিনি এনজিওদের বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।
পরে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কিছু কথা হয়েছে। আমাদের কনসার্ন যেটা, এনজিও নিয়ে যে কথাবার্তা হচ্ছে আমরা কী দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি এবং কাদেরকে নিয়ে বলছি। আমরা মনে করছি, আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে তা খতিয়ে দেখছি। ইনফরমেশন সব সত্য হবে এমন তো কথা নেই, ইনফরমেশনের মধ্যে কিছু পাকিস্তানি এনজিও দ্য আর ক্রিয়েট ডিসটারবেন্স।
তিনি বলেন, ‘দে আর ইনসাইটিং ভায়োলেন্স, রিসেন্টলি তারা আল্লার কাছে মোনাজাত করবে বলে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করেছে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক সমাবেশের দিকে গেছে, এসব নিয়ে আমাদের একটা কনসার্ন আছে সেটা আমরা বলেছি, এক্সপ্রেস করেছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, কিছু এনজিও’র কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছে। নানা ধরনের অভিযোগ আসে, কোনোটা সত্য আবার কোনোটা সত্য নাও হতে পারে। এই বিষয়টি মার্কিন অ্যাম্বাসেডরকে জানিয়েছি। অভিযোগগুলো সরকার খতিয়ে দেখছে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য দেশে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘১১ লাখ এই বাড়তি লোকের বোঝা আমরা আর সইতে পারছি না। তাদের কারণে আমাদের ভৌগোলিক, পর্যটন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সবকিছুতে সমস্যা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে।’
Leave a Reply