পানিতেও গাছ চাষ করা যায়, তা অনেকেরই অজানা। এটাকে বলা হয় হাইড্রোপনিকস পদ্ধতি। মাটির ব্যবহার না করে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ পানির মিশ্রণে চাষ শহর অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলুন এবার জেনে নিই কোন গাছগুলো জারেও চাষ করা যায়-
থাইম: রান্নায় সুগন্ধের জন্য অনেকেই এই পাতা ব্যবহার করেন। এই গাছের কুঁড়ি মূলত মে ও জুলাই মাসের পরে ফোটে। সেসময়ে গাছের ডাল বা অংশ থেকে চারা করতে মাতৃগাছ থেকে কাণ্ড কেটেই সঙ্গে সঙ্গে পানির পাত্রে বসিয়ে দিতে হবে।
পুঁইশাক: পুঁইশাকও চাষ করতে পারেন পানির জারে। এর জন্য আলাদা পাত্রে বীজ থেকে চারা তৈরি করে হাইড্রোপনিকস ফিল্ডে চারা স্থানান্তর করতে হয়।
টমেটো: ঘরের ভেতরেই উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা করলে খুব কম জায়গায় বেশ ভাল ফলন দেয় টমেটো। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে মাটির উপস্থিতিতে চারা তুলে এনে একোয়াপনিক্স মাধ্যমে বসাতে হবে। টমেটোর চারা পানিতে অঙ্কুরোদোগম হয় না।
মরিচ: ছাদ বাগানে বা বারান্দায় মরিচের একটা দুইটা গাছ থাকাই স্বাভাবিক। টমেটোর মতোই কচি চারা গাছ হাইড্রোপনিকসের মাধ্যমেও চাষ করতে পারেন।
পুদিনা: পুদিনার একটা ছোট্ট ডাল বা পাতা কেটে ফেলে রাখুন। পুদিনা জন্মাতে বিশেষ কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই।
তুলসী: তুলসী যথেষ্ট পরিমাণ আলো ও উষ্ণতা পেলে আপনার ঘরেই স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। হাইড্রোপনিক্সে চাষ করা তুলসী গাছ কুঁড়ি ফোটার আগেই কেটে ফেলবেন, এতে গাছটি অনেকদিন টিকবে।
শসা: পানির জারে শসাও চাষ করা সম্ভব। তবে লতানো গাছ নয়, ঝোপালো জাতের শসা গাছ হাইড্রোপনিক্সের জন্য ভালো।
রোজমেরি: শীতের পর রোজমেরি গাছ থেকে কাণ্ড সংগ্রহ করা সবচেয়ে শ্রেয়। এই সময়ে কচি চারাগাছ দ্রুত বাড়তে পারে। রোজমেরি বাসায় রাখার জন্য খুবই জনপ্রিয় গাছ।
Leave a Reply