রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
জঙ্গিরা বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গিরা বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধর্মীয় উগ্রপন্থি ও জঙ্গিরা বাংলাদেশে ‘ব্যর্থ হয়েছে’ বলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন।

 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির ওয়াশিংটন ডি.সিতে তিন দিনবাপী ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শিরোনামে সম্মেলনের সমাপনী দিনে একথা বলেন তিনি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে এটি ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এতে ৪০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০৬ দেশের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ, মসজিদ-মন্দির-গির্জার প্রধান এবং লেখক-মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চলেছে। ধর্মের নামে উগ্রপন্থিরা বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিরাষ্ট্রের তকমা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুণরায় একাত্তরের চেতনায় ফিরেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপদে-নির্বিঘ্নে তাদের ধর্ম-কর্ম সম্পাদনে সক্ষম হচ্ছেন। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ধর্মীয়-সম্প্রীতি আজ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।”

 

মোমেন বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন একটি আইন চালু করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কোন ধর্মবিশ্বাসী মানুষ বা সম্প্রদায়কে হেয়-প্রতিপন্ন করা অথবা ওই সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বা বর্বরতা চালালে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষাকেও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এজন্য চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার তথা সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।”

 

 

সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতারা

 

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেঞ্চ ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ব্রাউনব্যাক।

রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা নেবে বলে উল্লেখ করে মাইকেল পেঞ্চ বলেন, “এমন বর্বরতায় দায়ীদেরকেও কাঠগড়ায় সোপর্দ করতে সোচ্চার থাকবো আমরা।”

 

সম্মেলনে মিয়ানমার প্রসঙ্গে নেওয়া এক রেজ্যুলেশনে বলা হয়, ‘আগামী বছর মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। সে নির্বাচনে সব ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের অবাধ অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। এজন্য প্রয়োজনীয় সংলাপের কথাও বলা হয়েছে। এ সংলাপে থাকবে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল বা জোটগুলো। ধর্ম বা গোত্র বিবেচনায় নয়, মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে।’

 

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত ও শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হলেই দেশত্যাগী রোহিঙ্গারা নিজ বসতভিটায় ফিরতে আগ্রহী হবে বলে মন্তব্য করা হয় সম্মেলনে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24