লন্ডন ডেস্ক ::
যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মিনিষ্টার (পলিটিক্যাল) ড. শ্যামল কান্তি চৌধুরী বলেছেন, জাহানারা ইমামের সংগঠিত বিচার দাবির আন্দোলনের কারনেই বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ট্রাইবোনাল গঠনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন সম্ভব হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারা বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায় তাদের সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এই আন্দোলন এখানেই শেষ নয়, এটিকে চলমান রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতা চীর নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত।
২৬জুন, বুধবার লন্ডনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত শহীদ জননী‘র ২৫তম মৃত্যু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পুর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপলস্থ আইডিয়া ষ্টোরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার নির্বাহী সভাপতি সাবেক কাউন্সিলার নূরুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জামাল আহমদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি‘র পরিচালক, সিলেট জেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি ও দৈনিক উত্তরপূর্ব সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আজ যে সাফল্য এসেছে সেই সাফল্যের ভীত রচনা করেছিল একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির গণআদালত। আর যে মানুষটি এই গণআদালত থেকে শুরু করে দেশবিরোধী রাজাকার আলবদর চক্রের বিচারে ছিলেন সব থেকে সরব তিনি হলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
শহীদ জননীর জীবনের বিভিন্ন দিক এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার আহবাব হোসেন, বার্কিং এন্ড ডাগেনহ্যান কাউন্সিলের কাউন্সিলার মঈন কাদরি, যুক্তরাজ্য শাখার পক্ষ থেকে সম্মানিত সভাপতি সাংবাদিক ইসহাক কাজল, সহ সভাপতি সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, সহ সভাপতি নীলুফা ইয়াসমিন হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পুষ্পিতা গুপ্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবি হক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিনা আক্তার জোৎস্না। অতিথি বক্তা হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার উপদেষ্টা মাহমুদ এ রউফ, উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক অবু মুসা হাসান, কমিউনিস্ট পার্টির রফিকুল হাসান খান জিন্না, যুক্তরাজ্য জাসদের সহসভাপতি মুজিবুল হক মনি, কমিউনিটি নেতা আঙ্গুর আলী, জাহাঙ্গির খান, সাংবাদিক সৈয়দ শাহ সেলিম আহমদ, সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাংবাদিক এম এ রশিদ, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুসনেয়ারা মতিন, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক নেছার আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদি, সাবেক ছাত্র নেতা সায়েক আহমদ, সৈয়দ গোলাব আলী, কবি নজরুল ইসলাম ও নাজমা হোসেন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল আরও বলেন, ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাসের প্রাত্যহিক ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শহীদ জননীর কাজ করার বৃত্তান্ত উঠে এসেছে তারই রচিত ‘‘একাত্তরের দিনগুলি’’ বইতে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি তার বড় সন্তান শাফি ইমাম রুমি ও স্বামী প্রকৌশলী শরীফ ইমামকেও হারান। শহীদ জননীর ‘‘একাত্তরের দিনগুলি’’ বইটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তিনি বলেন, শহীদ জননীর অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply