রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
জার্মানিতে পড়তে আসার আগে যা জানা জরুরি

জার্মানিতে পড়তে আসার আগে যা জানা জরুরি

জার্মানি। ল্যান্ড অব আইডিয়াজ। ইঞ্জিনিয়ারদের স্বর্গরাজ্য। ব্যবসা-প্রশাসনও কম নয়। বিশ্বের সব নামিদামি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কোন না কোন শাখা এখানে পাওয়া যাবে।

 

স্বপ্ন যেখানে, সেখানে কিছু বাস্তবতার কঠিন দিক থাকে। যে বিষয়গুলো হয়তো সবার অজানা। সফল হতে হলে এই বিষয়গুলো সামনে আনা উচিত। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা যাবে। মুখোমুখি হওয়া সহজ হবে।

 

চিন্তা যখন টিউশন ফি!

আছে এবং নেই

 

জার্মানিতে ১৭টি রাজ্য। ১৬টি রাজ্যে অধিকাংশ সরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়াসশোনা অবৈতনিক। মানে স্টুডেন্টকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না। সরকার ট্যাক্সের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে থাকে। একটি রাজ্যের সব ধরণের ইউনিভার্সিটি কমবেশি পনেরশ এর বেশি ইউরো করে টিউশন ফি। এছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্স আছে যেখানে সরকার থেকে কোন ভর্তুকি নেই। মানে আপনার টাকায় পড়তে হবে। যা মোটেই সহজ কাজ নয়।

 

সেই সাথে মনে রাখা উচিত ফান্ডেড কোর্সে অ্যাডমিশন পাবার জন্য আপনার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড ভালো থাকতে হবে। অন্যথায় সম্ভব হবে না। অন্যদিকে টিউশন ফি দিয়ে জার্মানিতে পড়াশুনা করার মতো সাহস বা রিস্ক নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এখানে স্টুডেন্ট হিসেবে পার্ট টাইম অথবা নির্দিষ্ট সময় পার্ট টাইম জব করে হয়তো থাকা খাওয়ার যোগান দিতে পারবেন। টিউশন ফি কঠিন ব্যাপার হবে। কাজেই কোন অ্যাজেন্সি বা দালাল অথবা কাছের ভাই-বোন যে আপনাকে উৎসাহ দিচ্ছে তাকে বিশ্বাস করার আগে নিজেই ক্যালকুলেশন করে নিন।

 

কাজ করলেই শুধু টাকা!

টাকা নয় ইউরো

 

জার্মানিতে আইনগতভাবে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা অথবা ১২০ দিন পূর্ণ দিবস অথবা ২৪০ দিন অর্ধদিবস কাজ করা যায়। কোথাও দুই মিনিট কাজ করলেও সেটা রেকর্ড করা হয়।ভুলভাল রিপোর্ট বা তথ্য দিয়ে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। দিলে হিতে বিপরীত হবে। অনেকেই ভাবতে পারে হয়তো দেখার কেউ নেই। একটু না হয় বেশি করলে ক্ষতি কি! ক্ষতি কিছুই না। ট্যাক্স অথবা ইন্স্যুরেন্স নিয়ে দৌড়াতে হবে। ভিসা অফিসে হাজিরা দেওয়া লাগতে পারে। ভিসা জটিলতা আসতে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে পড়াসশোনায়।

 

‘দারিদ্রতার দুষ্টচক্র’ নামে একটি প্রবাদ আছে। যত উপার্জনের দিকে যাবেন অন্য ফোকাস থেকে আপনার বিচ্যুতি আসতে শুরু করবে। এই ইউরো চক্রে পরে অনেকেই ৪-৫ বছর শুধু ঘুরতে থাকেন। অবশেষে কোর্সের দরকারি মডিউল শেষ করতে না পারায় নতুন কোন গন্তব্য খুঁজতে বাধ্য হয়। সবশেষে ‘সম্ভাবনাময় ইঞ্জিনিয়ার’ তালিকা থেকে নাম মুছে নবাগত ‘ডে-লেবার’ হিসেবে নাম লেখাতে বাধ্য হয়। যা কোনভাবেই ফোকাস হওয়া উচিত না। স্টুডেন্ট হিসেবে মূল ফোকাস হচ্ছে পড়াসশোনা। ঠিক রাখুন। সাতখুন মাফ। জার্মানিতে টিকে থাকলে ইউরো আসবেই।

 

নিজেই নিজের গাইড!

প্রতিকূলতা থাকবেই

 

জার্মানিতে স্ট্রাগলের শুরুটা প্রথম দিন বিমানবন্দর থেকেই। সবাই চলছে রোবটের গতিতে। আপনাকে সাহায্য করবে কে? অপরিচিত কাউকে জিজ্ঞাসা করে হয়তো ডিরেকশন মিলবে। প্রতিদিনের কাজে এভাবে ডিরেকশন যোগার করা অসম্ভব এবং অপেশাদারি ব্যাপার। নিজের সমস্যা সমাধান রয়েছে নিজের হাতে। আশার কথা হচ্ছে পুরো জার্মানি টেকনোলোজি বেইজড। হাতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট থাকলে আপনি অপ্রতিরোধ্য। এবং এটাই হচ্ছে জার্মানির সাধারণ ট্রেন্ড। কাউকে আপনার দরকার নেই।আপনি নিজেই নিজের গাইড।

 

ধরা যাক গন্তব্য হচ্ছে আপনার বাসা থেকে পাশের শহর। মোবাইল অ্যাপসে পয়েন্ট এ- আপনার বাসার লোকেশন এবং পয়েন্ট বি- গন্ত্যের নাম। কিভাবে, কখন এবং কতো নাম্বার বাস-ট্রাম-ট্রেন ধরতে হবে তালিকা হাজির। কাছের দূরত্ব হলে নেভিগেশনে অ্যাপসে পয়েন্ট-এ এবং পয়েন্ট-বি টাইপ করুন। দেখানো নির্দেশনা অনুসারে হাঁটা শুরু কখন গন্তব্যে পৌছে যাবেন নিজেও বুঝা মুশকিল।

 

ও হ্যাঁ। জার্মানিতে সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে আবহাওয়া। আজকে চকচকে রোদ কালকে লেপ-তোশক পড়ে নামা লাগতে পারে। গতকাল রোদ ছিলো ভেবে আজ শর্টস পরে বেরিয়ে নিশ্চই শীতে ঠকঠক করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। উপায় হচ্ছে সেই স্মার্টফোন ও ওয়েদার অ্যাপস। দিনের শুরুতে অবশ্যই চেক করে সেভাবে গেটআপ নিতে হবে।

 

পরীক্ষার মার্কস গেলো কই!

ফাঁদ দেখেছো এইবার ঘুঘু ধরো…

 

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্খিত স্টাডি গন্তব্য। অন্যদিকে জার্মানিতে ইউনিভার্সিটির স্টাডি সিস্টেম পুরোটাই আলাদা। সব নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে। ক্লাসেও পরীক্ষায় কোনদিন না গেলেও কেউ আপনাকে ‘তুমি এসেছিলে পড়শু-কাল কেন আসনি…’ বলে মনে করিয়ে দিবে না। নির্দিষ্ট সময় পরে কর্তৃপক্ষ ধরেই নিবে আপনি অন্য কিছুতে মজে আছেন। যা আপনার ফ্রিডম।

 

আপনার প্রয়োজনে আপনি নিজেই আওয়াজ তুলবেন। এটাই হচ্ছে জার্মান পেশাদারিত্ব। ক্লাসে অংশ নেওয়া, স্টাডি পোর্টাল এবং পরীক্ষার আলাদা সার্ভারের পদ্ধতি- এগুলো নিয়ে অরিয়েন্টশনের দিনই আপনাকে বয়ান করানো হবে। ভাগ্য ভালো থাকলে ইংরেজিতে- অন্যথায় জার্মান ভাষায়। মাথায় রাখতে হবে এখানে সব অনলাইন বেইজড।

ইউনিভার্সিটির শুরুর দিনেই এগুলো কিভাবে কাজে লাগাতে হবে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষায় দিয়ে ভালো গ্রেড পাবার পরও বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। আবার পরীক্ষা দিতে হবে। অধিকাংশ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। যার ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আপনাকে পাশ-ফেল ঘোষণা করার এখতিয়ার রাখে।

 

নিয়মিত মডিউল হ্যান্ডবুক- কোর্সের মধ্যে কী কী বিষয় আছে, কয়টি ল্যাব আছে এগুলোর বিবরণীর তালিকা চেক করতে হবে। পরীক্ষা এবং ল্যাব রিপোর্ট/প্রটোকল করার দায়িত্ব আপনার নিজের। অথোরিটির কাজ হচ্ছে চেক করে ওয়েব সাইটে পাবলিশ করা। পরীক্ষা দিয়েছেন সেই গত বছর- এখনো রেজাল্ট অনলাইনে আসছেনা। হয়তো ধরে নিতে পারেন আপনার দায়িত্ব শেষ। খেলা এখন অথোরিটির হাতে।

 

হ্যাঁ- আপনি একই সাথে সত্য এবং বিচ্যুত। খেলা ঠিকই অথোরিটির হাতে। অন্যদিকে প্রটোকল অ্যাকসেপ্ট হয়েছে কি হয়নি চেক করা আপনার হাতে। কোন কারনে অ্যাকসেপ্ট না হলে, বছর পার হবে তবু রেজাল্ট পাবলিশ হবে না। মানে হচ্ছে ঐ প্রোটোকলে অথোরিটি গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার আগে আপনাকে কোন রেজাল্ট দিবে না।কাজেই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই জার্মান ইউনিভার্সিটি এনরোল হতে হবে।

 

পড়াশোনা-নেটওয়ার্কের বাইরে!

নিজেকে নিজে শিক্ষিত করা

 

‘জার্মান ফল টক’ – আসলেই টক। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং যারা পড়তে আসবেন। বেশি বেশি টক খাওয়ার সাথে সখ্যতা গড়ার মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে। দেশ ছাড়ার আগে ভালোভাবে মুরুব্বিদের দোয়া নিয়ে আসবেন। জার্মানিতে লাইফ হেল করা ব্যাপার হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে মাস্টার্স করা। যদিও অনেক গুরুজনের এখানে ভিন্নমত আছে। বৃহত্তর জনগণের স্বার্থে ইঞ্জিনিয়ারিং মানেই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে- এ সংকল্প মাথায় নিয়ে আসতে হবে।

 

শুরুর দিন থেকেই খেলা ভালোভাবে শুরু হবে। কিছু কোর্স মনে হবে এই মাত্র পৃথিবীতে নাজিল হয়েছে। যার প্রথম শিকার আপনি নিজে। নেটওয়ার্কে ধরা দূরে থাক নেটওয়ার্ক অক্ষত নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলে আপনি নিশ্চিত বীরবিক্রম। ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে খুবই নগণ্য ঘটনা। এখানে প্রফেসর ধরেই নিবে আপনি এই মাত্র মঙ্গ গ্রহ থেকে ল্যান্ড করেছেন। এগুলো আপনার কাছে দুধভাত। বাস্তবতা হচ্ছে টিচিং সিস্টেমের ভিন্নতা। দেশিয় শিক্ষা পদ্ধতির উদ্দেশ্যই হচ্ছে পাশ করার জন্য পড়ানো। এখানে শেখার আগ্রহ তৈরি করার জন্য পড়ানো হয়। বই, অনলাইন, জার্নাল ঘেঁটে আশপাশের শূন্যস্থান সেলফ স্টাডি করে পূরণ করে নিতে হবে। নিয়মিত করতে হবে। প্রথম সেমিস্টার হতাশায় পার হলেও মাথা খুলতে শুরু করলে নিজেই বুঝতে পারবেন কি জিনিস এখান থেকে আপনি অর্জন করেছেন। গ্রুপ স্টাডি হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরি উপায়।

 

জার্মান-করেছো মোরে দেউলিয়া!

হায়, আজ যদি ঘুষ থাকতো!

 

আমলাতান্ত্রিক কাজে জার্মানদের জুড়ি নেই। সব সময় নিজের গতিতে চলে। দৌড়ানোর সময় দৌড়ায়। থামার সময় ঢাকার ট্রাফিক জ্যামকেও হার মানাবে। মনে হবে ‘ইস- একটু যদি ঘুষ লেনদেনের সুযোগ থাকতো’।

 

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হবে ভিসা প্রসেস নিয়ে। সমস্যা না ঠিক। দেশ ছাড়ার আগে আপনাকে তিন বা ছয় মাসের ভিসা দেওয়া হবে। এখানে আসার পরে শহরভেদে এই ভিসাকে বর্ধিত করে কোথাও এক বছর কোথাও দুই বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। প্রতিবার নিয়ম একই। প্রধান ব্যাপার হচ্ছে আর্থিকভাবে কতোটা স্বচ্ছল- প্রমাণের জন্য ব্যাংক বা ব্লক মানি দেখাতে হবে এবং ভিসা শেষ হওয়ার ১-২ মাস আগে থেকে প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। অনেক বিগ সিটিতে সমস্যা আরো প্রকট। ৩-৪ মাস আগেও দেখা যায় কোন সাক্ষাতকার ডেট বা টারমিন খালি নেই।

 

জার্মানিতে প্রতিটি অফিসিয়াল কাজের যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে চিঠি। জার্মান অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের লাভ লেটারও চিঠি আকারে আসতে হবে। সে কারনে নিজের নামে লেটার বক্স থাকা আপনার নিজের থেকেও বেশি জরুরি। অন্যথায় কবে কোনদিন আপনার নামে ভিসা অফিসে ডাক চলে আসবে বলা মুশকিল। ইন্স্যুরেন্স থেকে শুরু করে স্যালারি রিসিপ্ট,ব্যাংকের টাকা উত্তলনি কার্ড, ময়লার বিল- সব ধরণের লেটার জমা করাই শ্রেয়। কখন কোন কাজে দেখাতে হবে বলা মুশকিল।

 

দেশিয় কমিউনিটি-বন্ধু যখন শত্রু!

ঘরোয়া পরিবেশে রাজনীতি চর্চা!

 

দেশিয় ভাই-ব্রাদার। চিল। পার্টি। কমিউনিটি ছাড়া চলে নাকি? অবশ্যই না- আপনি শতভাগ সঠিক। হাজার বছরের ইতিহাস বলে চিলের জন্য দেশিয় কমিউনিটির বিকল্প নেই। অন্যদিকে হ্যাটাররা বলতে পারে ‘ঘরোয়া পরিবেশ পারিবারিক আদরে রাজনীতি চর্চা করতে অবশ্যই কমিউনিটিতে নাম লেখাতে হবে’।

 

অতীত বলে কমিউনিটিতে টিকে থাকতে হলে আপনাকে খেলায় অবশ্যই পাকা হতে হবে। রাজনীতিতে সবার সেরা হতে হবে। অন্যথায় আপনি লুজার। কেননা অনেক থিওরি বলে আপনি এখানে আসবেন সিনিয়রিটির অহেতুক প্যারা খাবার জন্য। চির বাধ্যগত হওয়ার জন্য। এশিয় হিসেবে এই রাজনৈতিক পারদর্শিতা, পিছনে লেগে থাকা,অন্যের তেরটা বাজানো- অনেক পুরনো অর্জন।

 

 

মাথায় শুধু রাখতে হবে আপনি সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিতে আসছেন। মানসিকতায় বাঙালিয়ানা মুছে জার্মান হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মিশতে হবে অবশ্যই কোয়ালিটি বুঝে।দু’চারটে বিদেশি বন্ধু বানাতে হবে। উপকার না হোক অন্তত অপকার করবে না। বিপদের দিনে আরো বিপদ ডেকে আনতে চাইলে ‘গেইম অব থ্রন্স’ আপনার জন্য উন্মুক্ত প্রায় প্রতিটি শহরেই। আপনাকে আওয়াজ দিতে হবে না। আওয়াজ আপনার কাছেই চলে আসবে।

 

চাইনিজ-ইন্ডিয়ান!

মানুষ নাকি এলিয়েন?

 

আরে বাবা ইন্ডিয়ান-চাইনিজ! মানুষ নাকি এলিয়েন রোবট। মনে রাখা ভালো সবাই আপনার মতোই রক্ত-মাংসের সাধারণ মানুষ। স্টাডি করার মাধ্যমে অসাধারণ হওয়ার সুযোগ পাবে। আপনার কাজ হচ্ছে এই সুযোগ কাজে লাগানো।

 

বাংলাদেশি শিক্ষা ব্যবস্থা এতোটা তুচ্ছ না! আপনার মাঝে কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশি পটেনশিয়াল রয়েছে। সাহস করে শুধু এগিয়ে যেতে হবে। যে জিনিসটা আমাদের মধ্যে কম তা হচ্ছে কনফিডেন্স। কাজেই শুরু থেকেই চেষ্টা করুন প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে। চাকরি বাকরির জন্য না হোক অ্যাকাডেমিক কাজে আসবে।

 

আশপাশে অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে। যেখানে গবেষণা সহকারি হওয়ার কিছু সুযোগ থাকে। এখনো পর্যন্ত ইন্ডিয়ান এবং চাইনিজরা এখানে এগিয়ে। পটেনশিয়াল আপনারও কম না। শুধু সঠিকভাবে নক করা জানতে হবে।

 

জার্মান ভাষা, কোন বিকল্প নেই!

কাজে আসবে কি?

 

জার্মানিতে চলাচল করার জন্য জার্মান ভাষা জানার কোন বিকল্প নেই। পার্ট টাইম জব করতে চাইলে আরো আগে দরকার। কথা হচ্ছে কোথায় শেখায় এই ভাষা? টাকা পয়সা কেমন লাগে?

 

প্রায় সব ইউনিভার্সিটিতে ল্যাঙ্গুয়েজ ‘ফ্রি’। আই রিপিট একদম ফ্রি শিখানো হয়। কাজেই বসে থেকে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। মাস্টার্স দুই বছরের জন্য ছয়মাস করে চারটি লেভেল শিখে ফেলুন। কোন ঝামেলা এবং টাকা ছাড়াই। পরীক্ষাও ইউনিভার্সিটিতে হবে। সেখানেও কোন টাকা পয়সার ব্যাপার নেই। সার্টিফিকেট জার্মানির সব জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা আছে।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

June 2019
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24