বিশ্বকাপে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সাকিব। প্রতিদিন তাঁর পায়ে লুটাচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। এমনই এক রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাঁকে, যেটা অর্জিত হয়ে গেলে আক্ষরিক অর্থেই সাকিব হয়ে যাবেন অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপে এর মধ্যেই দুটি সেঞ্চুরি, দুটি হাফ সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই আছেন সাকিব। বল হাতেও তাঁর সাফল্য কম নয়। এর মধ্যেই দশ উইকেট নেওয়া হয়ে গেছে তাঁর। বিশ্বকাপে সাকিব ভালো করবেন, এটা জানা ছিল কিন্তু তিনি যে এই ‘ভালো’কে ইতিহাসের অংশ বানিয়ে ফেলবেন, সেটি হয়তো অনেকেই ভাবেন নি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার হতেও সাকিবের বেশি দেরি নেই!
কীভাবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ন্যূনতম দশ উইকেট ও ২৫০ রান করা খেলোয়াড়দের তালিকায় যারা আছেন, সাকিবের উইকেট সংখ্যা এর মধ্যেই সবার চেয়ে বেশি। ৩৩ উইকেট নিয়ে সাকিব আছেন সবার ওপরে। সাকিবের নিচে আছেন যথাক্রমে— কপিল দেব (২৮ উইকেট), মার্ক ওয়াহ ও সনৎ জয়াসুরিয়া (২৭ উইকেট), জ্যাক ক্যালিস (২১ উইকেট), যুবরাজ সিং (২০ উইকেট), তিলকরত্নে দিলশান (১৮ উইকেট), স্কট স্টাইরিস (১৭ উইকেট), অরবিন্দ ডি সিলভা (১৬ উইকেট), ক্রিস গেইল ও স্টিভ টিকোলো (১৫ উইকেট), স্যার ভিভ রিচার্ডস ও সৌরভ গাঙ্গুলী (১০ উইকেট)। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব ছাড়া এ তালিকায় আছেন শুধু গেইল। তাই বলা যায়, এ ক্ষেত্রে সাকিব একদমই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিশ্বকাপে ন্যূনতম দশ উইকেট আর ২৫০ রান করা খেলোয়াড়দের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারীদের মধ্যে ১ হাজার ১৬ রান নিয়ে সাকিবের অবস্থান ষষ্ঠ। প্রথমে আছেন জয়াসুরিয়া (১ হাজার ১৬৫ রান)। এরপর যথাক্রমে আছেন জ্যাক ক্যালিস (১ হাজার ১৪৮ রান), ক্রিস গেইল (১ হাজার ১৪৪ রান), তিলকরত্নে দিলশান (১ হাজার ১১২ রান) ও অরবিন্দ ডি সিলভা (১০৬৪ রান)। অর্থাৎ আর মাত্র ১৫০ রান করতে পারলেই জয়াসুরিয়াকে টপকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে অলরাউন্ডারদের অলরাউন্ডার হয়ে যাবেন সাকিব। অবশ্য রানের দৌড়ে গেইলও ভালোভাবেই আছে। জয়াসুরিয়াকে টপকাতে গেইলের লাগে ২১ রান।
যেভাবে সাকিব এগোচ্ছেন, এই রেকর্ডটা যদি সাকিব নিজের করে না নিতে পারেন এই বিশ্বকাপে, সেটাই আশ্চর্যের হবে।
Leave a Reply