রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
অসহায় এরশাদের জন্য বিদিশার ভালবাসা

অসহায় এরশাদের জন্য বিদিশার ভালবাসা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাক্তন স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। একনামেই যার পরিচয়। মনোমালিন্যের জের ধরে সংসার ছেড়ে গেলেও মনে প্রাণে এখনো প্রাক্তণ স্বামীকে ছাড়তে পারেননি। এরশাদ-বিদিশার ঘরে জন্ম নেওয়া এরিকই তার বড় কারণ।

 

আলাদা থাকেলেও দূর থেকে এরিককে ছায়ার মতই দেখভাল করে আসছেন। আর একমাত্র পুত্র এরিক যার কাছে আগলে আছে, পিতৃস্নেহে বড় হচ্ছেন সেই সাবেক স্বামী এরশাদের জন্যও তার ভালবাসার কমতি নেই। সুখের সময় কাছে না থাকলেও দুখে সমব্যথী বিদিশা এরশাদ।

 

ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এরশাদকে ভালবেসে গেলেও সেটি এতদিন গোপন ছিল। সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী হলে পুত্র এরিকের বাবা এরশাদের প্রতি বিদিশার ভালবাসা আরো বাড়তে থাকে। প্রকাশ পেতে থাকে তার ভালবাসা।

 

একসময়ের প্রভাবশালী রাষ্ট্রপতি ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বর্তমান অসহায়ত্বে বিদিশা শুধু উদ্বিগ্নই নন, এমন পরিস্থিতি কোনভাবেই সহ্য করতে পারছেন না। পারছেন না তার কাছে আসতে, না পারছেন এরশাদের এই অবস্থা সহ্য করতে্, এমনি অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরশাদের দৈনন্দিন পরিস্থিতি তুলে ধরছেন বিদিশা। এরিক ও এরশাদের ভবিষ্যত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তার ফেসবুকে প্রায় প্রতিদিন তিনি তুলে ধরছেন পুত্র এরিক ও এরশাদের অসহায়ত্ব।

 

মা হয়েও পুত্র এরিকের যেমন কোন সেবা করতে পারছেন না, তেমনি শয্যাশায়ী এরিকের বাবার জন্যও কিছু করতে পারছেন না বলে হা হুতাশ করছেন বিদিশা। তিনি মহান আল্লাহ পাকের কাছে তার প্রিয় সন্তান এরিকের জন্য দোয়া চেয়েছেন। সংসার ছাড়লেও এরিকের বাবা হিসেবে এরশাদকে এখনো স্বামী হিসেবে মনে প্রাণে ভালবেসে এরশাদের সুস্থ্যতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

 

‘এরশাদের সেকাল একাল- শিরোনামে ৬ ঘন্টা আগে তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, নিজেকে দূরভাগ্যবান হিসেবে মনে করছি এই জন্য যে,  আমি এরিকের মা হয়েও  তাকে কোন সেবা-শুশ্রুষা করতে পারছি না। এক দিকে আমার সন্তান অবহেলায় অনাদরে বড় হচ্ছে, আরেক দিকে সন্তানের বাবা বিছানায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছে। এই দুজনের কথা ভেবে ভেবে আমার দিন কেটে যায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের কাছে আমার প্রার্থনা এটাই থাকবে তিনি যেন আমার সন্তান ও স্বামীকে সুস্থ করে দেন এবং আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখেন।পুত্র এরিক ও তার বাবা এরশাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরে বিদিশা লিখেছেন, ‘এক সময়কার প্রভাবশালী রাষ্ট্রপতি যিনি দীর্ঘ নয় বছর বাংলাদেশকে শাসন করেছেন। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জ তথা অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যিনি লড়াই করেছেন তিনি আজকে একা নিঃসঙ্গ ভাবে জীবন যাপন করছেন তার বাড়িতে এবং ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সি এম এইচ)।’

 

‘অত্যন্ত দুঃখের সহিত বলতে হচ্ছে, যে মানুষটিকে ঘিরে তার পরিবার তার রাজনৈতিক দলীয় সদস্যরা যে সুবিধাটুকু নিয়েছেন, তার এই দুঃসময়ে তার পাশে থাকার মতো আজকে কেউ নেই। এখন তার সকাল-সন্ধ্যা একাকীত্ব ভাবে কেটে যাচ্ছে। জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন দলীয় মতামতের উপর ভিত্তি করে এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে। আজকে জীবন সায়াহ্নে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তার পাশে তার দলীয় নেতা কর্মীরাও নেই। এমন কি তার পরিবারের কোন সদস্যও নেই। এই অসুস্থ সময়ে হয়তো বা তিনি মনে মনে ভাবেন যে আজকে আমার পাশে যদি পরিবারের কোন সদস্য থাকতো তাহলে হয়তো বা তাদের কাছে জীবনের সুখ-দুঃখ, জীবনের শেষ সময়ের কিছু কথা তাদের কাছে বলতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অসুস্থতার এই রকম এক পর্যায়ে তাকে নিয়ে গেছে যে, এখন তাকে তার বিছানাতে প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম গুলো সারাতে হচ্ছে। পাশে তার বিশ্বস্ত কয়েকজন গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বলার মতো নেই।’

 

‘যে মানুষটিকে ব্যবহার করে মানুষ ক্ষমতার উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তারাই আজ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সবার অপেক্ষা সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেব কখন চোখ বন্ধ করবেন এবং তার অবশিষ্ট সম্পদআদি কে কখন কি ভাবে আত্মসাৎ করবেন সেই অপেক্ষায় আছেন। আসলে আমি বাংলাদেশের সমস্ত জাতীয় পার্টির এবং অনান্যে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে বলতে চাই, আপনারা যে যেখানে যে অবস্থানে আছেন, আপনারা আপনাদের জনপ্রিয় দলের প্রধানের জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা সব জায়গায় প্রার্থনা করুন আল্লাহ রব্বুল আলামীন যাতে তাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন। উনি সুস্থ হয়ে যেন আবার দেশ ও দশের খেদমত করতে পারেন এবং রাষ্ট্রের জন্য কথা বলতে পারেন, অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কথা বলতে পারেন, দলের জন্য কথা বলতে পারেন, মানুষের দুঃখ দূরদর্শিতা নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন এই আশা সবার কাছে ব্যক্ত করছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আর্কাইভ

June 2019
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

Weather

booked.net




© All Rights Reserved – 2019-2021
Design BY positiveit.us
usbdnews24