নিউইয়র্ক : হারানো দিনের প্রিয় গানগুলোর সাথে সেই গানের রচনাকালিন প্রেক্ষাপট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ব্যতিক্রমী এক আনন্দ-সন্ধ্যা উপভোগ করলেন নিউইয়র্কের প্রবাসীরা। নজরুল, রবীন্দ্র, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত সেনের গানের সাথে ছিল আধুনিক গানের সমাহার। কুইন্সের পিএস ১১২’র মিলনায়তনে রবিবার ৯ জুন শনিবার সন্ধ্যায় “সুরের মূর্ছনা” ব্যানারে এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন লেখক, শিল্পী ও মানবাধিকার আন্দোলনের দীর্ঘদিনের কর্মী ড. পার্থ ব্যানার্জী।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন কলকাতার প্রখ্যাত শিল্পী অলক রায় চৌধুরী। বাঙালি হৃদয় ছুয়ে যাবার সব গানের ডালা মেলে ধরেছিলেন অলক। দরাজ কন্ঠে তা পরিবেশন করেন তিনি। তার গাওয়া আধুনিক গানের মধ্যে ছিল “এতো সুর আর এতো গান”, “যদি কাগজে লেখো নাম”; নজরুল গীতির মধ্যে “সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়”, “আমি পথমঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে এবং “বলরে জবা বল” (শ্যামাসঙ্গীত)। আরো ছিল “সে ডাকে আমারে” (অতুলপ্রসাদ) ইত্যাদি। আয়োজক পার্থর কণ্ঠে কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছিল এ অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ আকর্ষণ। তার মধ্যে “সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে” শ্রোতাদের বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কবি হাসান আল আবদুল্লাহ ও নাজনীন সীমন। উভয়ে গানের ফাঁকে নজরুল আর রবিঠাকুরের কবিতাও আবৃত্তি করেছেন। আর এভাবেই পুরো এ আয়োজন বৈচিত্রমন্ডিত হয়ে উঠে। দুই বাংলার বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত করার অভিপ্রায়ে আয়োজিত এ সূরের মূর্চ্ছনার প্রেক্ষাপট উপস্থাপনকালেও ড. পার্থ তা উল্লেখ করেছেন। বাঙালিরা মৌলিক কিছু ইস্যুতে সব সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে তাদের অগ্রযাত্রা কখনোই কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বলে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে সকলকেই সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠতে হবে-মনে করেন পার্থ।
যন্ত্রসংগীতে ছিলেন রাকেশ, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়, অতীশ মিত্র ও রবিশঙ্কর ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের ঋত্বিকা ও ঋতজা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Leave a Reply