গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতকে অসহযোগিতা করেছে। ২০১৭ সালে রাখাইনে বেসমারিক নিরাপত্তায় ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্র বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে রায় ঘোষণার সময় নেদারল্যান্ডস এর হেগে আন্তর্জাতিক আদালত এ সব পর্যবেক্ষণ দেন। আদালত বলেন, ‘গাম্বিয়ার দাবি যথাযথ। রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় কোনোভাবেই মিয়ানমার এড়াতে পারে না।’
আন্তর্জাতিক আদালত আরও বলেন, ‘রাখাইনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পর্ক বহুবছরের। কিন্তু সেখানে সেনাবাহিনী দ্বারা জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক আদালতের রয়েছে।’
এর আগে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে মামলার রায় পড়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় নেদারল্যান্ডের হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) এই রায় পড়া শুরু হয়।
আদালতের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ এই অন্তর্বীকালীন এই রায় ঘোষণা করেন।
১৭ বিচারক এই মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫জন আন্তর্জাতিক বিচারিক আদলাতের নিজস্ব বিচারক। একজন করে বিচারক মনোনীত করেছে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার। বিচারকদের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সোমালিয়ার নাগরিক আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ। ভাইস-প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন চীনের শু হানচিন।
গত ১১ নভেম্বর গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর তামবাদু মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের দীর্ঘ কয়েক দশকের জাতিগত বৈষম্য ও নিপীড়ন এবং ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের পটভূমিতে গাম্বিয়া সুরক্ষা চাওয়া হয়।
প্রায় ৫০ পাতার ওই আবেদনে রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এই বিষয়টি উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া।
Leave a Reply