করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কোমর বেঁধে নামল চীন প্রশাসন। আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেই ছড়াচ্ছে এই রোগ। তাই চীনের অন্যান্য অংশে সঙ্গে ইউহান প্রদেশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দিল জিংপিং প্রশাসন, সেই সাথে আশংকা আছে অন্যান্য সকল দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হতে পারে চীনের যোগাযোগ।
বাতিল করা হয়েছে ইউহানগামী সমস্ত বিমান, ট্রেন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সড়ক পরিবহণ ও ফেরি পরিষেবাও। দেশবাসীকে ওই এলাকায় না যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন। এমনকী ইউহানের বাসিন্দাদের এলাকা না ছাড়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এহেন পরামর্শ দিয়েছেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিমন্ত্রী লি বিন। আমজনতার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “ইউহান প্রদেশে যাবেন না। আর যারা সেখানে আছেন, শহর ছেড়ে আসবেন না।”
সামনেই চীনের নববর্ষ। এই সময় চীনের বহু মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়াতে যান। দেশেরও বিভিন্ন প্রান্তে আনাগোনা বাড়ে মানুষজনের। দেশজুড়ে ছোট-বড় উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইউহান প্রদেশের এক মন্দিরে বহু মানুষ পুজো দিতে যান।
গত বছর সেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। এবার সেই মন্দিরে জমায়েতও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সিনেমা-থিয়েটার-জাদুঘরেও জমায়েত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউহান প্রদেশে নতুন বছরের অনুষ্ঠান না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এককথায়, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইউহান প্রদেশকে আপাতত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন প্রশাসন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশেও বহু মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক স্তরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ‘বিপজ্জনক’ তকমা দেওয়ার কথা ভাবছিল। তবে সংস্থার সদর দপ্তরে এনিয়ে বৈঠকের পর এখনই এই তকমা দিতে রাজি নয় WHO।
Leave a Reply